যৌনতা প্রশ্নে বাঙলার মানুষের একটা পরিচয় সারা ভারত জুড়ে এই হিসাবে যে তারা  বড় লাজুক। বাঙলার মানুষ যত বড় সংস্কৃতিমনস্ক হোক না কেন, যতই কামুক, পরকীয়াপ্রেমী হোক না কেন, যৌনতা নিয়ে আড়ালে কথা বলতে বেশী পছন্দ করে।  অথচ বাস্তব জগতে যৌনতাকে অস্বীকার করার উপায় নেই -সবাই অল্প বিস্তর যৌনতা উপভোগ করি   

মনে আছে, ছোটবেলায় যৌনতার স্বাদ পেয়েছিলাম বটতলার চটি গল্প পড়ে অথবা দৈনিক পত্রিকায় আসা ছোট করে প্রশ্নের উত্তর পড়ে। মজার কথা এই, কিশোর বয়স থেকে মানুষের যৌনতার সঙ্গে পরিচয় ঘটে বড়দের রক্তচক্ষুর আড়ালে, বেশ ঘুরপথে। অথচ, সেই মানুষ যখন বিবাহযোগ্য হয়ে ওঠে তখন ধরেই নেওয়া হয় যে, তার যৌনতা সম্পর্কিত জ্ঞান যথেষ্ট।

অর্থাৎ  ভ্রান্ত ধ্যানধারণার বশবর্তী হয়ে আজও আমাদের সমাজে যৌনতা নিষিদ্ধ বস্তু হিসাবে দেখা হয়। ফলে আমরা আমাদের মনের মধ্যে এক যৌন খিদেকে লালন করি। এই যৌন খিদে থেকে আমাদের চোখে নারী হয়ে ওঠে ‘মেয়ে মানুষ’,‘মাগী’, ‘মাল' – ইত্যাদি। এমন অভিজ্ঞতা মেয়েদের হামেশাই হয় যেখানে কামান্ধ পুরুষ অকারণেই বাসে- ট্রাম – ট্রেনের ভিড়ে মেয়েদের স্তনে ধাক্কা দিয়ে বা নিতম্বে পুরুষাঙ্গ ঘসে অথবা চোখের চাহনিতে মেয়েকে গর্ভবতী করে ফেলে নিজের যৌন বুভুক্ষা মেটাতে চায়।

যৌনতা নিয়ে মানুষের মনে ভ্রান্ত ধারণা দূর করা, সুস্থ মনে যৌনতাকে উপভোগ করার লক্ষ্যেই আমাদের প্রচেষ্টা শুরু করেছি। গুড়গুড়, ফিস ফিস- না করে সহজ কথা সহজভাবে সবার সামনে তুলে ধরার কাজে হাল ধরেছি 

আমরা কারা? আমরা বিভিন্ন সোসাল সাইটের কিছু বন্ধু-বান্ধব যারা যৌনতা ভালবাসি, যৌনতার কারণে পরষ্পর কাছাকাছি এসেছি। যৌনতাকে উৎসাহ দিতে   “ শুধুই যৌনতার জন্য”- এনেছি প্রিয় পাঠক পাঠিকাদের সামনে। এই  ই-পত্রিকার মধ্য দিয়ে বাঙালি সমাজের মধ্যে যৌন খিদে দূর হয়, যৌনতা ক্ষেত্রে লাজুক বাঙালি যদি সাবলীল হয়ে ওঠে, সুস্থ যৌন জীবন গড়ে ওঠে- তবেই এই পত্রিকার আসল উদ্দেশ্য সাধিত হবে।

আমাদের কাজে উৎসাহ দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন যে সকল লেখক, ছবিদাতা ও কবি, তাঁদের অবদান কখনো ভোলবার নয়।