ছবিঋণ- ইবন বতুতা
সারাটা দুপুর বিকেল আমার যে কি করে কাটলো আমি নিজেই জানি। বাড়ির
পশ্চিম দিকে যে আম গাছটা, আমার শোয়ার ঘরের জানালা দিয়ে তার ডাল পালা আর পাতার নিচে
ঝুম ধরা অন্ধকারের দিকে চেয়ে কেটে গেলো দুপুর বিকেল।
আমার দুপায়ের ফাঁকের ভদ্রলোক সেই যে সাপ দেখে নিশ্চুপ হয়েছে
আর সে ফনা তোলার সাহস করেনি, অথচ রত্না বৌদির সাদা লোমহীন দুধেল শরীর - শরীরের ওপর
বসানো দুটো উল্টানো জামবাটি, থর থর করে কাঁপা নিতম্ব, পায়ের পেশী আর ফর্সা পায়ে রুপোর
চেন, লাল পলাশের নখ, আর পায়ের আঙুলে রুপোর চুটকি- এক মুহূর্তের জন্যেও আমার মন থেকে
যায়নি। আমি কামে কাঁপছি রীতিমতো অথচ আমার পুরুষ দণ্ড ঘুমিয়ে। আমি কি ধ্বজো হয়ে যাচ্ছি!
বেশ বুঝলাম আমি এ নারীর বশীভূত। পাঁচ হাজার কেন, পঁচিশ হাজার হলেও আমি রাজী। কিনতে
এসে নিজেই বিকিয়ে গেছি।
সারা দিনমান পুবের
দিকের দেওয়াল, যা আসলে রত্না তারকের শোয়ার ঘরের দেওয়ালের সাথে শঙ্খলাগা সাপের মতো জড়িয়ে
আছে, সেদিক থেকে সেরকম সাড়া-শব্দ আসেনি। আগেই বলেছি রাত নিশ্চুপ হলে মাতাল তারকের হাতে
মার খেতে খেতে রত্নার ঘষটানি আর ডুকরে কেঁদে ওঠা এ দেওয়াল ভেদ করে চলে আসে। আমাকে ছোঁয়।
আমার কামদন্ড কে শক্ত করে তোলে আর হৃদয় কে নরম। শুধু চারটের দিকে একবার এসেছিলো তারকদা,
ইনিয়ে বিনিয়ে বললো রত্না তোমায় মাংস খাওয়াতে চায় তাই কিছু টাকা দিতে পারো। আমি শুধু
পাঁচ হাজার না, সাথে আমার সকালের কেনা মাংস, যা আমার আর রান্না করা হয়ে ওঠেনি, আর ওকে
রেড লেবেল কেনার জন্যে উপরি আটশ টাকা দিয়ে বললাম,
- ‘তারকদা, আমার তো
লজ্জা করবে তোমার বৌয়ের ঘরে ঢুকতে তাই আমাকেও দু পেগ দিয়ো’।
তারকদার চোখে কোনো বিষাদ দেখলাম না, বরং বললো
- ‘ধুর, লজ্জা কিসের?
আজ থেকে আমরা দুই ভাই। মদ একা খেয়েও তো মজাও নাই। আর আমার বউটা মদের মতই, আমারই থাকবে,
শুধু রাতে তোর সাথে শোবে। তাও জানি তোরা দুজনেই কেউ কাউকে ছুঁবিনা। ওরে, আমার তোর ওপর
ভরসা আছে রে’।
বুঝলাম রেড লেবেলের হাতছানি তারকেশ্বর কে দরাজ করে দিয়েছে।
বললাম একটু ভালো চাট নিয়ে এসো, বাদাম আর বিটনুন। তারকদা সেই যে মাংস নামিয়ে সাইকেল
চালিয়ে বনবন করে টাউনের দিকে গেলো জানি সন্ধ্যার আগে আর এ মুখো হবেনা। সবে চোখ লাগবে
লাগবে করছিলো মুষল ধারে আকাশ ফুটো করে বৃষ্টি এলো। ঘড়িতে তখন সাড়ে পাঁচটা। আমাদের দুই
বাসার মাঝের দেওয়ালে হাত বুলিয়ে বুঝতে চাইলাম আমার সাধের রত্নাবলী এখন কী করছে। হয়তো
চুল বাধঁতে বসেছে দু’পা ছড়িয়ে দিয়ে দাওয়ায়। হয়তো নিজের
সদ্য কামানো কিশোরীর মতো স্ত্রীঅঙ্গে আঙ্গুল দিয়ে আমার কথা ভাবছে, নাকি তার ভারী ভারী
নিতম্ব বিছিয়ে.....
ভাবনা গাঢ় হওয়ার আগেই
অদ্ভুত মন মাতানো মাংস কষার গন্ধ আমার নাক ভরিয়ে দিলো। নাক থেকে মগজ, মগজ থেকে মন।
বাইরে সন্ধ্যা বৃষ্টির ছাট, আর পুবের জানালা বেয়ে মাংসের সুঘ্রান যা কিনা সকালের পায়েসের
গন্ধ কে আবার মনে করিয়ে দিলো।
রত্নার রান্নাঘর অন্যদিকে, মানে পুকুরের পাশটায়। আমার বাড়ির
দেওয়াল, দেওয়াল পেড়িয়ে ওদের শোয়ার ঘর, স্নানের ঘর পেড়িয়ে উঠোন, উঠোনের ওপারে রান্নাঘর
তারপর ছোটো জঙ্গল আর জঙ্গলের ওপারে দীঘির জল। তবুও রান্নার গন্ধ আমার ঘরে, হয়তো বৃষ্টির
পড়ছে বলেই। ভাবলাম যাই একবার দেখে আসি রত্নাকে আমার। এখন তো তারকেশ্বর নেই। তারপর মাথায়
বৃষ্টির নিয়ে ফিরতেও পারবেনা সাইকেল করে। যেমন ভাবা তেমন কাজ। বাইরে বৃষ্টি ধরেছে।
পরনের বারমুডার ওপর এক টিশার্ট গলিয়ে সোজা সদর পেরিয়ে পাঁচিল টপকে ওদের দাওয়ায়, ঝুপ।
শুধু ঝুপ করে আমিই পড়লাম না, আকাশ ভেঙে বর্ষা নামলো ঝমঝমিয়ে।
এতোটাই মুষল ধারে যে আমার সামনে সব ঝাপসা হয়ে গেলো। কোনোরকমে লাফাতে লাফাতে উঠোন টপকে
রান্নাঘরের দাওয়ায় গিয়ে উঠলাম। দরজার কাছে যাওয়া তো দূরের কথা কোনোরকমে জল ঝেড়ে চোখ
খুলে ঠাওর করার চেষ্টা করছি রান্নাঘরের খোলা দরজার আলোটা কোন দিকে। বুঝলাম, আমি যেখানে
দাঁড়িয়ে আছি সেখানে আজ সকালে তারকদাকে আধশোয়া অবস্থায় মুখমেহন করে দিচ্ছিলো কাম পিপাসিনী
রত্নাবলী। পোকা যেমন মরার আগে আগুন খুঁজে এগোয় আমিও পায়ে পায়ে রান্নাঘরের দরজার আলোর
দিকে গেলেম। ভেতর থেকে যৌন আবেদনে চোবানো নারী কণ্ঠ ভেসে এলো
- ‘কী রতনবাবুর আর তর সইছে না ?তারপর খিলখিলিয়ে হাসি’।
হাসিটাও যেনো পায়ে পায়ে এগিয়ে এলো আমার দিকে। রান্নাঘরের দরজার
আলোর সামনে দাঁড়ালো এসে মোহময়ী সেই নারী। চলনে তার ঝুমুর ঝুমুর স্বর। আমি অতর্কিতে
নামিয়ে নিলাম দৃষ্টি আমার। সারাজীবন দেবদর্শনের জন্যে আমরা কতো মানত করি পুজোআচ্চা
করি কিন্তু ভেবে দেখেছি কী সামনে যদি সত্যিই সত্যিই কোনো দেবী দণ্ডয়মান হন তখন আমাদের
মানসিক অবস্থা কী হতে পারে। আর এ তো আমার সাক্ষাৎ কাম দেবী। আমার ইহকাল পরকালের কান্ডারী।
তারপর একঝটকায় কিছু বোঝার আগেই এগিয়ে এলো সে, পরনের শাড়ির আঁচল তুলে আমার মাথা মুছে
দিলো উঁচু হয়ে পায়ের পাতার ওপর দাঁড়িয়ে। আমার গাল দুহাতে ধরে ওঠালো নিজের চোখে আমার
চোখ রাখার জন্যে। কী অদ্ভুত এক গন্ধ ভেসে এলো আমার নাকে। মৌরি ফুলের গন্ধ যেনো। মাংসের
তেল মশলার গন্ধ ছাড়িয়ে রান্নার গন্ধ ছাড়িয়ে মাগী শরীরের কামঘন ঘামের গন্ধ কে পেছনে
ফেলে সে মিষ্টি হাল্কা গন্ধ ঢুকে গেলো আমার নাকে, আর নাক থেকে মগজে।
আমার চোখে চোখ রেখে বললো,
- ‘আমি তো আজ থেকে তোমা্র, তাহলে এতো উতলা কেন? ইশ..পুরো ভিজে
গেছ। এখন যদি সর্দি হয়’?
আমি নির্বাক। সে ডাগর চোখের হুল আমায় দংশন করেছেরে পাগল। আমি
আধমরা হয়ে এইমুহূর্তে ভাষা ভুলে গেছি। রত্নাবলীর স্থির দৃষ্টিতে আমার সে কিঙ্কর্তব্যবিমূঢ়তা
ধরা পরে গেলো। কানে হাল্কা মোচড় দিয়ে বলে
- ‘দাও গেঞ্জিটা ছাড়ো দেখি। এমন পাগলের পাল্লায় পড়লাম আমায়
না রাতটা তারা গুনে কাটাতে হয়’।
তারপর বা হাত নামিয়ে আমার নাভির জায়গাটায় মোচড় দিয়ে এক রাম
চিমটি দিলো। আমি ছিটকে গিয়ে সরে দাঁড়ালাম দূরে। আর আমার ভেজা বারমুডার ভিতর দিয়ে ফণা
তুলে দাঁড়ালো আমার সাপ। দাঁড়াবেই না বা কেন? মাগীর পরনে শুধু একখানা ঘরে পড়ার সুতির
শাড়ি। টান করে গাছকোমর করে পড়া তাই ভারী বুক বেঁধে রেখেছে। বোটাগুলো ফুলে উঠেছে। কলার
নিচে খোসার শেষ দিকটার মতো। গলায় চিকন রুপোর হাড়। সোনা কেনার পয়সা নেই সে আমি বিলক্ষন
জানি। যেটুকু ছিলো তাও গেছে বরের নেশার দৌলতে। কেন যে মানুষ নেশা করে এরকম! কেনই বা
তার এরকম স্ত্রীকে খুলে ফেলতে হয় এক এক করে বিয়ের সব গয়না!
নাভির গভীর গর্তের নিচে মাংসল পেটের হাল্কা লেয়ার। উল্টানো
কাছিমের পিঠ। চকচক করছে ঘাম আর তেলে। কোমরে আবার মোটা কালো সুতোর ঘুনসি চেইন। তার পাশ
দিয়ে পিতলের ছোটো ছোটো একগাছা ঘুঙুর ঝুলছে। হাসির দমকে বেজে উঠছে ঝুমুর। মুখে হাল্কা
ঘাম। সকালের সাজ অটুট থাকলেও তাতে কালো এক আস্তরণ পড়েছে। বোধহয় রান্নার ঝুল ধোঁয়া আর
মেঘলা সন্ধ্যার অন্ধকার। হাঁটু অবধি পৌঁছতে পারেনি রত্নাবলীর শাড়ি। উঁচু ঢেউ খেলানো
নিতম্ব টেনে ধরে রেখেছে সে আট হাত কাপড়কে। পায়ের রুপোর চেন তখনও পড়া। হয়তো আজ রাতে
আর ওটা ছাড়বে না। একবার কথায় কথায় বলেছিলাম মেয়েদের গয়নার মধ্যে আমার পায়ের নুপুর সবচেয়ে
পছন্দ আর নাকের নাকফুল। হয়তো তার মনে থেকে গেছে সে কথা।
রত্না তাকালো আমার সাপের দিকে। তারপর তার সে কী হাসি। হাসতে
হাসতে শরীর প্রায় তার দুভাঁজ হয়ে গেলো। এগিয়ে এসে কাপড়ের ওপর দিয়ে খপ করে ধরলো আমার
ফুঁসতে থাকা দণ্ড । কচলে দিয়ে বললো,
- ‘আহারে !কী ক্ষিদে কী ক্ষিদে। মরি মরি’!
তারপর আমার গেঞ্জিটা দুহাত দিয়ে তুলতে গেলো। আমি নিজেই খুলে
দিলাম হাত দিয়ে কিন্তু তখনও আমি স্থির দাঁড়িয়ে আছি স্থানুবৎ। বলার চেষ্টা করলাম,
- ‘রত্না...’
কিন্তু বেশিদূর গেল
না আমার কণ্ঠস্বর। শুকিয়ে গেছে উত্তেজনায়। কিছু না বুঝে না বলে আমি লুটিয়ে পড়লাম ওর
পায়ের কাছে। ওর কোমর জাপ্টে ধরে মুখ রাখলাম ওর হাঁটুর মাঝে। কাঁপতে কাঁপতে বললাম
- ‘আমি পাগল হয়ে যাবো’।
রত্নাবলী আচমকা স্থানুবৎ, তারপর একটু ধাতস্ত হয়ে আমার মাথার
চুলে ডুবিয়ে দিলো তার নরম কমলা হাত। মাতৃস্নেহ যেনো ঝরে পড়ল গলায়, বললো
- ‘ধুরর পাগল, আমি তো তাই চাই। তুমি হবে আমার ল্যাংটা পাগল,
আর আমি সেই ল্যাংটা পাগলের রে** পূজারিণী’।
তারপর মুখ টিপে সে কী হাসি। আমি ঠিক শুনতে পেলামনা তাই ওর ওই
সুন্দর পায়ের নখের থেকে দৃষ্টি সড়িয়ে ওপর পানে চাইলাম, বললাম
- ‘কী পূজারিণী’?.. রত্নাবলী যারপরনাই লজ্জিত হয়ে আমার দিকে
চেয়ে ফিক করে হেসে বললো
- ‘রেন্ডি.. রেন্ডি’।
বলেই দাঁত দিয়ে ঠোঁট কেটে ছুট্টে চলে গেলো রান্নাঘরের ভেতর।
আমি সজোরে হেসে উঠলাম বসে বসেই। অন্যসময়ের চেয়ে একটু বেশিই জোর দিচ্ছি হাসিতে, ক্যাবলা
কার্তিকরা যেমন দেয় আর কী। বাইরে আবার বাজ পড়ার শব্দ হলো, বৃষ্টি জোরালো হলো আরও।
রান্নাঘরে দেখি মাংসের ধোঁয়ায় রত্নাবলীর চোখে জল.. নাকেও বাষ্প
জমেছে। দরজায় আমায় দাঁড়াতে দেখে বললো,
- ‘রাতে কি খাবে ? রুটি না ভাত’? আমি বললাম,
- ‘আমি ভাতই খাই’।
রত্না বললো,
- ‘জানি, কিন্তু আজ শুধু একটা রুটি। ভরা পেটে আদর
করলে মজা পাবে না’। বলে আবার সেই লাজুক হাসি। আড়চোখে চাইলো আমার কোমরের নিচে। আমি বললাম
- ‘তোমায় দারুন
লাগছে জানো’? বললো,
- ‘সে তো বেশ
বুঝতে পারছি তোমার ছোটবাবুর লাফানো দেখে। তবে আজ কিন্তু বেশি কিছু আশা কোরো না’।
আমি বললাম, - ‘মানে’?
রত্না একটু এগিয়ে এসে মেঝের দিকে দৃষ্টি নিঃক্ষেপ করে বললো,
- ‘যতই বলো তুমি আমার ওখানে ঢোকাবেনা, কিন্তু তুমি কি আর না
করে থাকতে পারবে? আমারও ওটা ঘেমে গেলে থাকতে পারিনা যে। তবে আজ প্লিজ কিছু করোনা..,
মানে ঢুকিওনা। আমার বরের সামনে ওসব কোরো না’।
আমি যেনো আকাশ থেকে পড়লাম।
- ‘তুমি সত্যিই আমায় দেবে’?
রত্না চকিতে মুখ তুলে আমার দিকে চেয়ে রইলো – ‘কেনো তোমার ইচ্ছা
নেই...’
- ‘আমার ইচ্ছা নেই এটা হতে পারে’?
- ‘জানি, তবে আজ না। আগে তারকের বিশ্বাস আদায় করতে দাও, দেখবে
ও নিজেই একদিন তোমার সাপটা নিতে বলছে আমায়। সেদিন আমি তোমার কোলে উঠে তোমার মোটা কলাটা
খাবো,..একজন আরেকজনকে সারাদিন লাগিয়ে বসে থাকবো। হি হি...কেমন? আজ না হয় অন্যকিছু’।
আমি বললাম – ‘অন্যকিছু মানে’?
- ‘দেখতে পাবে,.. রাজা.. তোমায় হতাশ করব না’। বলে রত্না আবার
সেই ভুবন মোহিনী হাসি দিলো।
তারপর মাংসের ডেকচি নামাতে নামাতে বললো,
- ‘যাও, আমাকে রেডি হওয়ার সময় দাও। আমাকে নিজেকে সাজাতে দাও..
আমার পাগল প্রেমিকটার জন্যে..আর আসার সময় মোড়ের মাথায় বুড়ির কাছ থেকে আটটা রুটি কিনে
এনো’।
আমি যাবো যাবো করেও যেতে পারছিনা। যাওয়ার কথা ভেবে হঠাৎ ঘুরে
দাঁড়িয়ে এক ছুটে গিয়ে জাপ্টে ধরলাম রত্নাবলীকে। কি ভর করেছিলো আমায় কে জানে! রত্নাবলী
নিজেকে সামলাবার সময় পেলোনা। ধাক্কা না সামলাতে পেরে মাথাটা পেছন দিকে হেলিয়ে আমার
কাঁধ আঁকড়ে ধরলো। আমার মুখের সামনে ভেসে উঠলো দুটো উঁচু পাহাড় সাদা মেঘে ঢাকা। জ্ঞান
হারিয়ে মুখ ডুবিয়ে দিলাম ওর নরম ছানার মতো বুকে। পাগলের মতো শাড়ির ওপর দিয়েই বুকে ঘষতে
লাগলাম মুখ, তারপর ডান দিকে মাইয়ের বোঁটা লক্ষ্য করে দিলাম মোক্ষম কামড়। আমাকে যেনো
পিশাচ ভর করেছে। ব্যাথায় আঁতকে উঠলো রম্ভারূপসী রত্না। আমাকে ঝেড়ে ফেলতে চাইলো শরীর
থেকে। বা হাঁটু তুলে দিলো আমার তলপেটে গোত্তা।
- ‘আহঃ.... একী করছো? ..সরো..ছাড়ো.. ছাড়ো আমায়!.. ছেড়ে দাও’!
আমি তখন জ্ঞানবোধ হীন। জেনে গেছি কেন মানুষ রেপের মতো ঘৃণ্য
কাজ করে ফেলে। পুরোদস্তুর বলপ্রয়োগ করছি অবলা স্বপ্নের নারীর ওপর -হিতাহিত জ্ঞান নেই।
নারীর নিজেকে রক্ষা করার স্বাভাবিক স্বভাবেই রত্না আঁচড় দিচ্ছে আমার বুকে, তারপর কিছু
না পেয়ে আমার নাক চোখ খিমচে ধরলো ওর লম্বা লাল পালিশ করা নখের আঙুলে। খোঁচা খেয়ে রাগ
চাপলো মাথায় আমার, টেনে ধরলাম ওর শাড়ির আঁচল। টাল সামলাতে না পেরে পড়ে গেলাম রান্নাঘরের
মেঝেতে। আর রত্নাবলী লুটিয়ে পড়লো আমার বুকে। শাড়ির আঁচল খুলে এলো হাতে, লাফিয়ে বেরিয়ে
পড়লো খরগোশ ছানার মতো ওর নিটোল সাদা দুই ঝোলানো স্তন। বোঁটা গুলো গাঢ় খয়েরি আর তার
চারধারে হালকা বাদাম রঙের বলয়, আমি যেন নতুন খেলনা পাওয়া বাচ্চা ছেলে। খামচে ধরলাম
দুটো আর পাগলের মতো গুঁতো মারতে লাগলাম দুটোর খাঁজে; ঘাম জব জব করছে। কি সে মাতাল করা
গন্ধ। যেদিকে চাপ দিচ্ছি অন্যদিকটা ফুলে উঠছে হাওয়া ভরা বেলুনের মতো। অথবা ডুবতে থাকা
নাবিক.. ঢেউ আঁকড়ে বাঁচতে চাইছে। রত্নাবলী সামলে নিতে যেটুকু সময় নিলো। ডানহাত দিয়ে
আমার মাথাটা দূরে সরাতে চাইছে আর বা হাতটা আমার দুই হাতের ভিতর গলিয়ে ছাড়াতে চাইছে
তার মাই।
- ‘ছাড় বলছি.. ছেড়ে দাও .. খানকির ছেলে তুমি একটা’!...
সাধের রত্নার মুখে মন্দ ভাষা আমাকে আরও নিষ্ঠুর করে তুললো।
আমি সুযোগের অপচয় না করে ওর বাম মাইয়ের মেজেদুল খেজুরের মতো বোঁটা ঠোঁটে নিয়ে টান দিলাম
সজোরে
- ‘আঃ!... মাগো!... লাগছে.. লাগছে! দাঁত দিয়ে দিলোরে আমার নরম
জায়গায়.!.... খানকির ছেলে..ছার্ না আমায়’।
ডুকরে কেঁদে উঠলো রত্না। গেঁথে দিল ওর নখ আমার দুচোখের মাঝখানে।
অথচ আমার লেগেও লাগল না। কামান্ধ আমি। জীবনে বেঁচে থাকার একমাত্র সার যেন ওর দুধ টেনে
নেওয়া। যেন সত্যিই দুধ আসছে আর আমি দুদিনের ক্ষুধার্ত পথিক।
ক্রমাগত কাতরাতে থাকলো রত্না, দু হাঁটু দিয়ে আমার দু পায়ে ঠেলা
মারছে, উঠতে চাইছে, কোমরের ঝুনঝুনি ঝন ঝন করছে। পায়ের রুপোর নুপুরও প্রতিবাদ করছে করুণ
স্বরে। অশ্রাব্য ভাষায় গাল পাড়ছে, তুমি পাল্টে গেছে তু্ই তোকারিতে..
- ‘মেয়ে দেখিসনি কোনোদিন খানকির ছেলে?.. ইতর... মায়ের দুধ খা
গিয়ে শুয়োরের বাচ্চা .. তোর চোখ গেলে দিতে হয়’..
দম নেয় তারপর থেমে, আবার কাঁদে আর চেঁচায়..কখনো আবার কাঁদতে
কাঁদতে বলছে
- ‘ছাড় আমায় ছাড়ো....ছেড়ে দেরে খানকিমাগীর ছেলে.. আমায় এরকম
নষ্ট করিস না’।
আমি ততক্ষনে পাল্টে ওর ওপর চলে এসেছি। আমার নিচে ঝটপট করছে
নরম দলিত হওয়া মাগী শরীর। যে শরীরে এতো সুখ আগে কেনো বুঝিনি। আমার ফুসতে থাকা বাঁড়া
ঘাই মারছে থেকে থেকে ওর দুপায়ের মাঝে নরম খাঁজে। এরকম কতক্ষন ছিলাম জানিনা। ধীরে ধীরে
কান্না গোঁঙ্গানিতে পাল্টে গেলো। মুখের ভাষা ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লো রত্নার। ধস্তাধস্তি
অনেকটাই কমে এলো। সেরকম আর সার নেই ওর ধীঙি শরীরে। ফুঁপিয়ে উঠতে লাগলো শুধু থেকে থেকে।
বাইরের বৃষ্টিও যেনো ধরে এলো। রান্নাঘরের মেঝের ওপর আমাদের শরীরের গায়ে তখন ঘামের প্রলেপ।
আমার কানে আর জলের শব্দ আসছে না।
খুব ক্ষীণ কণ্ঠে নারীর কণ্ঠস্বর আসছে একটানা ..
- ‘আমায় নষ্ট করে দিলরে আজ। আমি আর পারছিনা ইতরটার সাথে। তারক
রে..তোর সুন্দরী বউটাকে জোর করে খাচ্ছে.. তু্ই ঘরে নেই কেন.. আমার বুক গুলো খাবলে খাচ্ছে
রে.. তু্ই খাসনা.. একটা নষ্ট লোক খেয়ে যাচ্ছেরে ...... আর না.. না না.. আর না ....
আমার লাগছে’...।
রত্নার পা গুলো শান্ত হয়ে গেছে, থর থর করে কেঁপে উঠছে থেকে
থেকে কান্নার শিহরণে। অল্প গরম হয়েছে বোধ হয়। দুই উরুতে ঘোষছে আর কেঁপে কেঁপে উঠছে।
আমাকে এখন আর মারছে না, উল্টে হাতের মুঠোয় আঁকড়ে ধরে আছে আমার চুল আর হাতের পেশীগুলো।
ওর লাল নেলপলিশ করা ফর্সা পায়ে রুপোর সরু নুপুর চক চক করছে। নিচের দিকে তাকাতে আমি
আবার পাগল হয়েছে গেলাম। ডান হাত খানা নিচে নিয়ে ওর বা পায়ের ডিম টা ধরে ওপরে টানতে
চাইলাম। ঠিক সেইমুহূর্তে বৌদি কি হবে বুঝতে পেরে দাঁতে দাঁত ঘষতে ঘষতে বলে উঠলো
-.’ছিঃ! এই শুয়োরের বাচ্চার জন্যে আমি নিজেকে সাজাচ্ছিলাম?
স্বপ্ন দেখবো বলে?.. জানোয়ার’!..
কথাটা কানে যেতেই সম্বিৎ ফিরে পেলাম আমি। ঠোঁট দাঁত সরিয়ে নিলাম
মাইয়ের বোঁটা থেকে। দেখি লাল হয়ে ফুলে গেছে চারপাশটা। আর বুকের খাঁজটায় ডুমো ডুমো লাল
কামড়ের দাগ। আমি যেন ঘোরের মধ্যে ছিলাম। আমার বাড়া এখনো শক্ত। বারমুডার নিচের দিক থেকে
বেরিয়ে এসে ঘাই মারছে বৌদির নরম মাখনের মতো উরুতে। নিজেকে ওর মুখের কাছে তুলে ধরে দেখলাম
ওর দুচোখে কাজল ভিজে কাদার মতো হয়ে গেছে। জিভ দিয়ে সে নোনা জল চাটতে গেলাম। যা দেখলাম
তাতে আমার মন কেঁদে উঠলো। একী করেছি আমি! আমার সাধের রত্নাবলীর চোখের কাজল ধুয়ে লম্বা
কালো রেখা গাল বেয়ে নেমে আসছে। মুহূর্তের জন্য চোখেচোখি হলো। লাল করুণ চোখ, কাঁপতে
থাকা নাকের পাটা, ঠোঁট ; চোখ সরিয়ে নিলো ও। ওর ঠোঁট ছুঁতে গেলাম, জোর করে মুখটাও সরিয়ে
নিলো একপাশে। কেঁপে উঠলো ওর সারা শরীর ফোঁপানিতে। কান্না চাপার কি অসহ্য চেষ্টা। আমিও
পারলামনা আর। কেঁদে ফেললাম আমিও। ‘এ আমি কি করলাম রত্না! আমাকে ক্ষমা করে দাও বৌদি’।
উঠে পড়লাম ওর শরীর থেকে। শাড়িটা কোমরের কাছে জড়ো করা, সায়াটাও।
দুটো ম্যানা দুইদিকে পড়ে আছে। ঝড়ের পর গাছ পড়ে থাকে যেমন। বৌদি শুয়ে থেকে থেকে ফোঁপাচ্ছে।
দুপাশে দুহাত ছড়ানো। কোনো সাড় নেই তাতে। কোনো চেষ্টাও নেই নিজেকে ঢাকার।
আমার কপালের কাছটা ভেজা ভেজা ঠেকছে। হাত নিয়ে গেলাম ওখানে দেখি
রক্ত। বৌদির নখের আঘাতে। না জানি কতো জোরে চেপে ধরেছিলাম ওকে.. ছিঃ! নিজের ওপর নিজেরই
রাগ হল। জলের জগ থেকে জল খেয়ে গ্লাসে ঢেলে বৌদির মুখের সামনে নিয়ে এলাম। রত্না আমার
দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকলো। জল টা নিল না। তারপর দু হাতে ভর দিয়ে উঠতে চেষ্টা
করলো। আমি বগলের নিচে হাত দিয়ে তুললাম। গ্যাস এর সিলিন্ডারে হেলান দিয়ে আমার দিকে চেয়ে
রইলো কিছুক্ষণ। আমি ওর চোখে চোখ রাখতে পারছি না। ক্ষীণ কণ্ঠে বললো,
- ‘কেন এমন করলে রতন? কেন এরকম জানোয়ারের মতো খেলে আমায়’?
- ‘জানি না’!
- ‘আমি তো তোমায় সব দিচ্ছিলাম রতন’!
- ‘বৌদিগো, আমি জানি না.. জানিনা..জানিনা। আমি আর নিতে পারছিনা
বৌদি। আমি তোমায় চাই। আমি তোমায় না পেলে মরে যাবো’!
- ‘আমি তো তাই দিচ্ছিলাম তোমায়। দেখো কেমন চুল বেঁধেছিলাম তোমার
জন্যে। জানো তোমারই জন্যে আমি পার্লরএ গেছিলাম। আমার সায়া খুলে দেখো, তোমাকে খাওয়াবো
বলে আমি কি না করেছি। ছিঃ, তুমি এমন জানোয়ার। তারপর আমার কপালের দিকে ইঙ্গিত করে বলল,
- ‘তোমার কেটে গেছে রতন, ভগবান তোমায় শাস্তি দিয়েছে’। গলায়
আগের মতো রাগ নেই বরং হেরে যাওয়ার দুঃখ।
তারপর হাত বাড়িয়ে গ্লাসের জলটা নিলো। আমি কাছে যেতে আমার কপালে
হাত দিলো। তারপর হঠাৎই আমায় এক থাপ্পড় মারলো। আর কেঁদে উঠলো সজোরে। আচমকা থাপ্পড় এ
আমি থতমতা। থাপ্পড় খেয়ে আমিও কেঁদে উঠলাম আর ওকে জড়িয়ে ধরলাম। ও আমার বুকে মুখ গুঁজে
দিলো। তারপর আমাকে ধরে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলে চলল,
-‘আমার বুকে দুধে নেই রতন। কেন এসেছিলে তুমি দুধে নিতে? জান
না, আমি বাজা মাগী? কেউ কোনোদিন আমার দুধ খায়নি রতন। কেউ না! আমার বুকে দুধ দেবে তুমি
রতন? পেটে বাচ্চা লাগিয়ে দিলে দুধে হবে। দেবে... দেবে’?
বলে আবার ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো আমাকে আঁকড়ে ধরে। আমি
রত্নার খুলে যাওয়া খোপা টা বুকে চেপে রেখে সে নিবিড় মুহূর্তে মৌনতা অবলম্বন করলাম।
বাইরে তখন খুব ধীর লয়ে বৃষ্টির তান.. ভিতরে রত্নার আবেশ জড়ানো
অসংলগ্ন গোঁঙানি, বলেই চলেছে, বিরামহীন,
- ‘তোমার রস আমার ভিতরে গেলে দেখবে আমার ঠিক পেট লাগবে ...
আমার বাচ্চা হবে... আমার দুধে সাদা দুধ আসবে.. আমি মা হবো!... বাজা রত্না মা হবে!...
দেবে রতন পেট বাঁধিয়ে... আমার দুধ খাওয়াবো সোনা, ডানদিকেরটা তোমার আর বাঁদিকেরটা পেটের
টার... তুমি আমায় ভালোবাসতে পারো না?.. আমি ভালোবাসা চাই... ভালোবেসে জোর লাগাতে চাই...
মাতাল মদ্দাদের শিকার হয়ে আমি আর পারছি না রতন’।
কতক্ষণ সে নিঝুম আলোতে জড়াপটকি হয়ে বসেছিলাম জানিনা। ঘোর ভাঙলো
বাইরের সদর দরজায় করাঘাতে। কোনোরকমে নিজেকে রত্নাবলীর অর্ধনগ্ন শরীরের থেকে তুলে নিয়ে
ছুট্টে উঠোন পাড় হয়ে একলাফে এইপারে। মনে হলো - হায়রে সময়! কেনই বা তু্ই দূরে চলে যাস!
(ক্রমশ)
0 মন্তব্যসমূহ