সুজাতা আর দীপেনের সাথে পরিচয় করিয়েই আমি বিদায় নেব। কাহিনীটা আপনারা শুনবেন সুজাতার বয়ানে। আপাতত, ওদের সাথে পরিচয়টা করিয়ে দিই। দীপেন এখন বিদেশী ব্যাঙ্কের চিফ ম্যানেজার। কর্মদক্ষতার জন্য আরও দু’বছর এক্সটেনশন পেয়েছে। সার্টিফিকেটের বয়স দু বছর কমানো। কিন্তু আসল বয়স তো ষাট!
সুজাতার সাথে বয়সের ফারাক চোদ্দ বছরের। সে হিসেবে সুজাতা এখন পঁয়তাল্লিশ।
এমনিতে ওরা সুখী দম্পতি। একমাত্র ছেলে গৌরব বরাবরই লেখাপড়ায় চৌকশ। তবে এতটা যে চৌকশ , ওরা ভাবতে পারেনি। গৌরব যখন আই আই টি খড়গপুরে চান্স পেয়ে গেল, ওরা অবাক। আর একটা সেমেস্টার পার হয়ে গেলেই, চাকরীর দরজা খুলে যাবে। ক্যাম্পাসিং-এ একটা বহুজাতিকে সিলেক্টেড হয়েছে। তবে তাকে আমেরিকা চলে যেতে হবে। গৌরবের ইচ্ছে, ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে সে আই আই এম- এ পড়বে। তারপর হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে। একমাত্র ছেলের স্বপ্ন সফল করার
জন্য দীপেনের কোনও কার্পণ্য নেই। ফলে ছেলের শিক্ষা, চাকরী,-- এসব নিয়ে অন্য মা-বাবার মত চিন্তা তাদের নেই।
কিন্তু সমস্যাটা অন্যত্র। সেটা ওদের শরীরী সম্পর্কে।
সুজাতা দেখতে সুন্দরী। বাপের বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। দীপেন তখন ছিল সরকারী ব্যাঙ্কের ক্লার্ক। সংসারের বোঝা বইতে গিয়ে, বিয়ের বয়স পিছিয়ে পড়েছিল। দুই বোনের বিয়ে, ছোট দুই ভাইকে পড়ানো, তাদের নিজের পায়ে দাঁড়ানো অবধি তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে। ওদেরও আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। তাই ইংরেজিতে সদ্য এম এ পাশ করা সুজাতার জন্য যখন সরকারী ব্যাঙ্ক কর্মী দীপেনের আলাপটা এল, সুজাতার বাবা এক কথায় রাজি হয়ে গেলেন। সুজাতার মধ্যেও দ্বিধা ছিল। বয়সে পনেরো বছরের বড় ছেলেকে বিয়ে করবে, নাকি সরকারী চাকুরে বরের আর্থিক নিশ্চয়তায় জীবনটা কাটাবে। সারা জীবন বেসরকারি চাকুরে বাবার আর্থিক সংকটের ছায়ায় বড় হয়েছে বলে, সব দ্বিধা ঝেড়ে, দীপেনকেই বিয়ে করতে রাজি হয়ে গেল। বিয়ের দু বছরের মাথায় দীপেন পরীক্ষা দিয়ে অফিসার হয়ে যায়। আর এর মধ্যে গৌরব এস গেছে ওদের জীবনে। সুখ যেন চুইয়ে পড়ছে ওদের জীবনে।
কিন্তু ওদের দাম্পত্য জীবনে একটাই কাঁটা খচখচ করছিল অনেক দিন থেকেই। নাকি বিয়ের পর থেকেই ? ফুলশয্যার প্রথম রাতেই দীপেন টের পেয়েছিল, সে বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারছে না। ভেবেছিল প্রথম রাতের উত্তেজনায় এমন হয়ে গেছে। কিন্তু দ্বিতীয় রাতে, সুজাতা তার মাথার চুল ধরে ঝাঁকাচ্ছিল প্রবল কামনায়, আর বলছিল,
-
“আরও জোরে ! আরও জোরে! শক্তি নেই তোমার”?
বিবশ হয়ে যায় দীপেন। সুজাতা নগ্ন, কামার্ত , নিজেই চড়ে বসে দীপেনের উপর। দীপেনের দুহাত চেপে রেখে, প্রবল শক্তিতে কোমরের গতি বাড়িয়ে, খরস্রোতা নদীর ঘূর্ণির মত, উদ্দাম কামনায়, হিংস্র কামড়ে , নোখের আঁচড়ে, -- সে এক মূর্তিমতী রতি। তবু তার রতিসুখ পূর্ণ হয় না যেন। যোনির পেশীর সংকোচনে যেন পিষ্ট করে নিতে চাইছে দীপেনের পুরুষাঙ্গ। আর সুজাতা তুঙ্গ মুহূর্তে পোঁছে যাবার আগে, দীপেন স্খলিত হয়। সুজাতা বুঝে যায় , দীপেনের দুর্বলতা কোথায়। এবং চিরন্তন বাঙালী গৃহবধূর মত মেনে নেয় সব। তবে এটা দীপেনকে খোঁচায়। আর এখন তো বয়স, মৃদু ডায়াবেটিস, -- সব মিলিয়ে পঁয়তাল্লিশের সুজাতার , এখনো কাম-জাগা রাতে সহজেই স্খলিত, পরাভূত হয়ে উপুড় হয়ে পড়ে থাকে নগ্ন সুজাতার কামনা-মদির দেহের উপর।
দীপেনের একটা আড্ডা আছে। মাঝে মাঝে যায়। পার্ক স্ট্রীটে একটা বারে। ওর তিন বন্ধু আসে,- সুকুমার দত্ত, রজত সেন আর কিশোর ভিমানি। সেদিন কিশোর বলছিল, তার নতুন অভিজ্ঞতার কথা। ওর বৌ কামে সাড়া দেয় না। ওরা চার পুরুষের টেকসটাইল ব্যবসায়ী। বাংলাদেশ গিয়েছিল একটা টিন এজ মেয়েকে নিয়ে। অভিজ্ঞতাটা সুখকর নয়। ফেরার সময়, পেমেন্ট নিয়ে মেয়েটা বলেছিল, আঙ্কেল , নেক্সট টাইম বয়স্ক কাউকে সঙ্গে নেবেন। আই এম নট ইয়োর কাপ অফ টি। সুকুমার মুচকি হেসে বলল, এসব বাদ দাও। আমি একটা সেক্স ক্লাবের কথা জানি। তবে খরচা আছে। একটা এডাল্ট সাইটে এদের সন্ধান পাই। অনেক কাপল যায়। এরা পেইড কাপল। যার যেমন ইচ্ছে, সে তার মত সেক্স টাইপ বেছে নিতে পারে। শোনা মাত্র দীপেনের মনে একটা ভাবনা উঁকি দিয়ে যায় মনে। যদি সুজাতাকে নেওয়া যায়। কিন্তু সে আবার সতী সাধ্বী টাইপ। সুকুমার বলল, সেটা সমস্যা নয়। মদ খেলে সুজাতার সতীপনা কাটিয়ে দেওয়া যাবে। দীপেন বলে, সুজাতা যে মদ খায় না। সুকুমার আশ্বাস দিয়ে বলে, সেটা আমার উপর ছেড়ে দে। ওরা ঠিক করে নেক্সট শনি বার ওরা যাচ্ছে সেই সেক্স ক্লাবে।
পরিচয় করিয়ে দেবার পালা শেষ। এবার আমি যাই। বাকিটা আপনারা সুজাতার বয়ানে। কারণ, এই কাহিনীর মুখ্য চরিত্র কিন্তু সুজাতা।
।। সুজাতার কথায়।।
দুপুরে ফোন করে দীপেন বলল, সন্ধ্যে বেলা একটা নিমন্ত্রণ আছে। ওর কোন এক বন্ধুর ফ্ল্যাটে। তবে ও সোজা ব্যাঙ্ক থেকে চলে যাবে। আমি যেন ক্যাব নিয়ে চলে যাই ছ’টার মধ্যে। ঠিকানাটা টেক্সট করে দিয়েছে। জিজ্ঞেস করল, কি পরব। বললাম, শাড়ি। শাড়িতেই আমি সবচেয়ে কমফোর্টেবল। ও চাইছিল আমি জিনস পরি। আমার উরু এবং নিতম্ব ইদানীং ভারী হয়ে গেছে। জিনস পরলে ছেলেদের চোখ সারা শরীরে ঘুরঘুর করে। সেটা ভীষণ অস্বস্তিকর। আমি একটা জিনিস বুঝি, অন্য পুরুষ যখন আমার দিকে কামনার চোখে তাকায়, দীপেন সেটা উপভোগ করে। বলে, দেখ, তুমি এখনো কত এট্র্যাকটিভ। এটা আমার কাছে খুব আশ্চর্য লাগে। নিজের বৌয়ের শরীর অন্য পুরুষ তারিয়ে তারিয়ে দেখবে, সেটা ও সহ্য করে কি করে ! ঠিক আছে, ও যখন চাইছে আমার শরীরী সৌন্দর্যে ওর বন্ধুরা প্রলুব্ধ হোক, তাই হবে।
আমি একটা কালো ব্যাকলেস হল্টার নেক ব্লাউজ পরলাম। আয়নায় দেখলাম, যথেষ্ট ক্লিভেজ দেখা যাচ্ছে। পুশ আপ ব্রা পরেছি, যাতে আমার স্ফীত বক্ষ আরও ফুটে ওঠে। নাভির অনেকটা নীচে শায়ার গিঁট বাঁধলাম। সাটিনের শায়া। নিচে ফ্রিল দেওয়া।
গাঢ় লাল সি থ্রু শাড়ি পরলাম। ওটা দীপেনই কিনে এনেছিল। কক্ষনো পরিনি শাড়ীটা। পুরো শরীর দেখা যায়। আয়নায় দাঁড়িয়ে দেখলাম, নাভি, কোমরের খাঁজ, এটা ইদানীং হয়েছে, স্ফীত, উদ্ধত স্তন-বিভাজিকা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। শাড়ীটা ভারী নিতম্বে লেপ্টে আছে এমন ভাবে যে ভালো করে লক্ষ করলে, যে কেউ ভেতরে প্যান্টির আভাসও পাবে। উবের নিয়ে চলে গেলাম ঠিকানায়। কিন্তু একটা সরু গলি দিয়ে ঢুকতে হবে। এটা আবার সুইফট ডিজায়ার। ঢুকবে না গলিতে। চালক বলল, ম্যাডাম হেঁটে চলে যান। আবছা অন্ধকার গলিটা। কিছু দূর হাঁটার পর দেখি, পুরো অন্ধকার। গলিতে একটা কুকুরও নেই, মানুষ তো দুরস্থান। কিছু দূর যাবার পর গা ছমছম করছিল।
দীপেনকে ফোন করলাম। বলল,
-
“ ভয়ের কিছু নেই। দু’ মিনিট হাঁটলেই পৌঁছে যাবে”।
দু’ মিনিট হেঁটে ঠিক যে জায়গাটায় পৌঁছলাম, সেটা ঘুটঘুটে অন্ধকার। সামনেই একটা পাঁচ তলা বাড়ি। এটাই সেই ঠিকানার বাড়ি, যেটা দীপেন টেক্সট করে জানিয়েছিল।
গেট খুলে ঢুকে বেসমেন্ট পেরোব লিফটের দিকে, আচমকা দুটো লোক কোত্থেকে এসে আমার মুখ চেপে ধরে পাঁজাকোলা করে তুলে নিল। প্রচণ্ড শক্তি লোক দুটোর। আমি প্রাণপণে হাত পা ছুঁড়ছি। কিন্তু কিছুতেই ওদের হাত ছাড়াতে পারছি না। ভয়ে আমার গলা শুকিয়ে আসছে। বুক ধড়ফড় করছে। চেঁচাতেও পারছিনা, ওরা কাপড় দিয়ে মুখ চেপে রেখেছে। ওরা আমাকে নিয়ে লিফটে ঢুকে গেল। তবে কি লিফটেই আমাকে… । আমি প্রায় অজ্ঞান হতে যাচ্ছি। কিন্তু ঠিক করলাম শেষ শক্তি দিয়ে ওদের আটকাবো। কিন্তু লিফটে ঢুকে ওরা আমার চোখ মুখ বেঁধে দিল। হাত পিছমোড়া করে বেঁধে ফেলল চোখের পলকে। এবার পা-ও বেঁধে দিল। লিফটের আলোয় ওদের মুখ দেখতে পেলাম না। কালো টি শার্ট আর কালো প্যান্ট পরা দু জনেই। পেশীবহুল শরীর। মাঙ্কি ক্যাপ দিয়ে পুরো মুখ ঢাকা। শুধু চোখ দেখা যাচ্ছে। আবার ওরা আমাকে পাঁজাকোলা করে তুলে নিল। না, কিছু তো করল না, যা আমি ভাবছিলাম। লিফট চলছে। লিফট থেকে বেরিয়ে ওরা একটা করিডরে এল। পুরো অন্ধকার। একটা ঘরের সামনে আমাকে আমাকে শুইয়ে রেখে মুখের বাঁধন খুলে দিল। আর দৌড়ে উল্টো পথে চলে গেল। আমি বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকলাম।
এমন সময় করিডরে আলো জ্বলে উঠল। আমি হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। আমার সামনের দরজাটাও খুলে গেল। আর যাকে দেখে আমি সবচেয়ে নিশ্চিন্ত হলাম, সে দীপেন। দীপেনই আমার হাত পায়ের বাঁধন খুলে দিল। একটু ধাতস্ত হতেই অনেক চেনা মুখ দেখলাম। আমার হাত পা পুরো শরীর তখনো আতংকে কাপছে। মিসেস বসু বললেন, সুজাতা জল খাও। আমাকে ধরে ধরে ওরা একটা সোফায় বসাল। ঢকঢক করে পুরো গ্লাস জল খেয়ে নিলাম। এসি চলছে।
খানিক পরে মিসেস বসু আমার জন্য এক গ্লাস ফ্রুট জুস নিয়ে এলেন। ভদ্রমহিলাকে আমি এমনিতে পছন্দ করি না। তার সম্পর্কে কিছু কথা শুনেছি। ওরা স্বামী-স্ত্রী
নাকি অন্য দম্পতিদের সাথে সেক্স করে। মিসেস বসুর নাকি তীব্র যৌন ক্ষুধা। উনি অল্প বয়সী ছেলেদেরই পছন্দ করেন। সেজন্য ওরা সেরকম কম বয়সী দম্পতি বেছে নেয়। তবু আজ মিসেস বসুর আন্তরিকতা আমার ভালো লাগল। জুসটা অল্প অল্প করে খাচ্ছি। বেশ অন্যরকম স্বাদ জুসে। এই আতঙ্কিত সময়টা যত যাচ্ছে, আমার স্নায়ু তত যেন শিথিল হয়ে আসছে। মিসেস বসু, মিসেস দত্ত, মিসেস ভিমানি আমাকে ডেকে নিলেন ওদের সোফায়। এবার ওয়েটার হার্ড ড্রিংকস নিয়ে এল। ওরা সবাই নিল। আমি মদ খাই না। তাই নিলাম না। সরিতা ভিমানি বলল, - “আমরা খাব, আর তুমি খালি মুখে বসে থাকবে”?
নীলা বসু বলল,
-“আমি ওকে জুস এনে দিচ্ছি”।
এবারের জুসটা আরও স্বাদু। একটু একটু করে চুমুক দিচ্ছি। যাতে শেষ না হয়ে যায়। মনটা এখন বেশ ফুরফুরে লাগছে। মিউজিক বেশ দ্রুত লয়ে বাজছে। সরিতা আমাকে টেনে নিয়ে গেল যেখানে সবাই গানের তালে নাচছে। আমি তো নাচতে পারি না। কিন্তু সরিতা আমাকে অভয় দিল। একটু একটু করে আমিও কোমর দুলিয়ে নাচতে লাগলাম। কি যে হল আমার ! নাচের নেশা পেয়ে গেল। মিউজিক যত দ্রুত হচ্ছে, আমিও উদ্দাম হয়ে নাচছি। তেষ্টা পেয়ে গেল। নীলাকে বললাম,
-“ জুস এনে দেবে”?
সঙ্গে সঙ্গে নীলা আমাকে আরও এক গ্লাস জুস এনে দিল। এত তেষ্টা পেয়েছিল যে এক চুমুকে পুরো গ্লাসটা শেষ করে নিলাম। দীপেনকেও দেখলাম, নাচছে। চোখের ইসারায়, বোঝাতে চাইল, আমাকে দারুণ লাগছে। ও খুশি হয়েছে। সেটাই আমার আনন্দ।
এমন সময় একটা ছেলে এসে বলল,
-“আমি কি আপনার সাথে নাচতে পারি”?
আমি রাজি হয়ে গেলাম। ছেলেটি অল্প বয়সী। আমার ছেলের বয়সী হবে। ও আমার হাত
ধরল। আমি আপত্তি করলাম না। আস্তে আস্তে আলো মৃদু হয়ে এলো। বেশ রোমান্টিক পরিবেশ। নাচার সময় ছেলেটা আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে এল। আমার বুকে ওর বুক লাগছে। দীপেন কি দেখছে ? ঘাড় ঘুরিয়ে দীপেনকে দেখতে পাচ্ছি না। আলো- আধারিতে কাউকে দেখা যাচ্ছে না। ছেলেটা আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে এসেছে। আমাকে ডান হাতে জড়িয়ে ধরল কোমরে। আমি বাধা দিলাম না। এবার ওর আর আমার শরীরের মধ্যে কোনও ফাঁক নেই। ওর শরীরে একটা মাতাল করা পুরুষালী গন্ধ। এই গন্ধটা অজগরের মত আমাকে গ্রাস করে নিচ্ছে। আমি ভেসে যাচ্ছি এক অদ্ভুত মাদকতায়। একসময় ও আমাকে স্কত করে দুহাতে জড়িয়ে ধরল। আমিও ওকে জড়িয়ে ধরে ফেললাম। ও আমার ঘাড়ে গলায় মুখ ঘষছে। খোলা পিঠে খেলে বেড়াচ্ছে ওর খসখসে হাত। শরীরটা শিরশির করছে।
আমরা নাচতে নাচতে একসময় হল ঘরের একেবারে কোণায় চলে এলাম। এদিকটায় আলো আরও কম। প্রায়ান্ধকার কোণে এসে আমার মধ্যে এক্ রকম উত্তেজনা ফিল করছিলাম। ছেলেটা আমাকে দেয়ালে ঠেসে ধরেছে। আমার দু হাতের কব্জি চেপে ধরেছে দেয়ালে।
দেয়ালটা বেশ ঠাণ্ডা। খোলা পিঠে লাগছে সেই ঠাণ্ডা। ও আমার ঠোঁটে চুমু খেল। আমি কেঁপে উঠলাম। আর কি করে যেন আমার সব সংস্কার, দ্বিধা-দ্বন্দ্ব , দাম্পত্যের বাঁধন,-- সব এক লহমায় খড়কুটোর মত উড়ে গেল। আমার অবচেতন মনঃ বলছিল, এটা অবৈধ। কিন্তু আমার ভেতরের এতদিনের ক্ষুধার্ত একটা নারীমন, প্রবল হয়ে উঠে, ছেলেটাকে ফিরিয়ে দিল তীব্র চুম্বন। কি আগ্রাসী ছিল সেই চুম্বন। আমরা যেন একে অন্যের জিভ ঠোঁট ছিঁড়ে খুঁড়ে নিচ্ছিলাম তীব্র শোষণে। ঠোঁট ছেড়ে ও আমার গলায় বুকের খাঁজে মুখ ঘসছে। কাঁধ থেকে কখন যে খসে পড়েছে আঁচল। নিচু হয়ে সে আমার মুখ ঘসছে আমার পেতে। জিভ দিয়ে চাতছে আমার নাভি। দু হাতে আমার নিতম্ব খামচে ধরেছে। সাটিনের শায়া, প্যানটির উপর দিয়ে, কামড়াচ্ছে উরুসন্ধি, তীব্র কামে মুখ ঘষছে। আমি আর দাঁড়াতে পারছি না। আমার সব বোধবুদ্ধি , চেতনা যেন লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আমি তো ছেলেটার নামও জানি না।
ও আমাকে পাঁজাকোলা করে একটা রুমে নিয়ে এল। খুব মৃদু নিলাভ আলো জ্বলছে। কামনার রঙ কি নীল? ধীরে ধীরে শুইয়ে দিল সফেন বিছানায়। ও হাসল। আর একে একে খুলে নীল সমস্ত পোশাক। সম্পূর্ণ নগ্ন, রোমশ, পেশীবহুল শরীর। চোখ গেল ওর উচ্ছ্রিত পুরুষাঙ্গের দিকে। আরা আমার যোনির ভিতরে টের পাচ্ছি তিরতির কাঁপন। এতটা শরীরী সুখ আমি আগে কখনো পাই যে। আমার প্রাণ মন চাইছে ও হাঙরের মত খেয়ে ফেলুক আমাকে। যা ইচ্ছে করুক আমার সাথে। যা ওর মন চায়। আমি বাধা দেব না।
এক সময় আমার পাশে এসে বসে। হাত রাখে আমার স্তনে। মৃদু চাপ দেয়। যেন তার হাতে তালুতে একটা কবুতর আমার বুকটা। আচমকা প্রবল শক্তিতে মুঠো করে ধরে একটা স্তন, যেন ছিঁড়ে নেবে ফুলের মত বোঁটা থেকে। যন্ত্রণায় আমি ককিয়ে উঠি। কিন্তু আমার ভালো লাগছে এই পেষণ। এবার সে খুলে নেয় ব্লাউজ আর ব্রা। স্তনের বোঁটায় তর্জনী বোলায়। শক্ত হয়ে ওঠে বোঁটা। মুখ নামিয়ে আনে। জিভের ডগা দিয়ে মৃদু আঘাত করতে থাকে স্কত হয়ে আসা বোঁটায়। চোষে। হালকা কামড় দেয়। আমি কেঁপে কেঁপে উঠি। গোঙাই কামসুখে। আমার উদ্ধত দুই স্তন এক সাথে মুঠো করে এবার মুখে নেয়। আর রাক্ষসের মত চোষে, কামরায়, মুখ ঘষে।
এবার বিছান্য উঠে আমার পাশে এসে শোয়। ডান হাত, অবাধ্য হাত, পেট, তলপেট, নাভি ছুঁয়ে নামতে থাকে নীচে, আরও নীচে, থামে উরু সন্ধিতে। খুলে ফেলে শায়ার গিঁট। পা দিয়ে টেনে নামিয়ে দেয়, শুধু প্যানটি টুকু রয়েছে শরীরে। প্যানটির উপরে হাত দিয়ে, ফিসফিস করে কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে, আপনি তো ভিজে গেছেন। বলে হালকা কামড় দেয় কানের লতিতে। আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি। দু হাতে আঁকড়ে ধরি ওকে। মুখ গুঁজে দেই ওর রোমশ বুকে। ও আমার একটা হাত টেনে নিয়ে ওর উচ্ছ্রিত পুরুষাঙ্গে রাখে। আমি ধরি। এত বড় ! এত দৃঢ় !
দু হাতে টেনে নামায় আমার শেষ আবরণ, কালো প্যানটি। পায়ের আঙুল থেকে ঠোঁট বুলোতে বুলোতে উঠে আসে উরুসন্ধিতে। আমার কোমরের নীচে দু হাত নিয়ে কোমরটা টেনে নামিয়ে আনে ওর মুখের কাছে। আর আমার দু পা তুলে নেয় ওর কাঁধের উপর । আমার জঙ্ঘায় ঠোঁট বোলাচ্ছে, জিভ দিয়ে চাটছে, মৃদু কামড় দিচ্ছে চামড়ায়। আর একটা সিরসিরে ভালো লাগা অনুভূতি , বিদ্যুৎ তরঙ্গের মত , স্নায়ু বেয়ে জড়ো হচ্ছে আমার স্তনের বোঁটায়। শক্ত হয়ে গেছে বোঁটা। ছেলেটা মুখ ঘষছে তো ঘষছেই। ট্রিম করা যোনিকেশে গাল পেতে রেখেছে। তলপেটে চুমু দিচ্ছে, কখনো জিভ দিয়ে চাটছে, মুখ ঘষছে। আর কখন যে নামিয়ে এনেছে মুখ যোনিমুখে, টের পাইনি। আগ্রাসী হাঙরের মত, কামড়ে দিল ওখানে। ব্যথা পাইনি, আশ্চর্য ! চৈত্রের বাতাসে কেঁপে ওঠা গাছের পাতার মত, কেঁপে উঠছি তিরতির করে, দু হাতে মুঠো করে খিমচে ধরি বিছানার চাদর। চোখ বুজে আসে পুলকে, আবেশে। যৌনতায় এমনও সুখ আছে, জানিনি কখনো। সাপের জিভের মত লকলকে একটা উষ্ণ জিভ আমার যোনিগহ্বরে ঢুকে যায়। প্রবল শীৎকারে গোঙাতে থাকি। দুই উরু দিয়ে প্রবল ভাবে চেপে ধরি ছেলেটার মাথা। আর সে জিভ দিয়ে শুষে নিচ্ছে, আমার সমস্ত ক্ষরণ, আমার যোনির কামরস।
এবার সে উঠে আসে আমার উপর। তার রোমশ শরীর চেপে বসছে আমার নগ্ন শরীরে। আমার পিঠের নীচে দু হাত এনে জাপটে ধরেছে, এত জোরে, যেন আমাকে পিষে ফেলবে। আমার স্তনের বোঁটায় হালকা কামড় দিয়ে আমাকে বিদ্যুৎ-স্পৃষ্ট করে ফেলল। কোন অতলে তলিয়ে যাচ্ছি আমি। আমার মসৃণ চামড়ায় ওর রোমশ শরীরের ঘর্ষণে যোনিগহ্বরে কুঞ্চন প্রসারন টের পাই। অপেক্ষা করছি সেই চরম মুহূর্তের জন্য, যখন সে প্রবিষ্ট হবে। বিছানার পাশের টেবিল থেকে কনডমের প্যাকেট খুলে, কনডোম পরে নেয়। বুনো জন্তুর মত গেঁথে দেয় তার দীর্ঘ , উচ্ছ্রিত পুরুষাঙ্গ। সক্রিয় হয়ে ওঠে ওর কোমর। আমাকে পাগলের মত চুমু খাচ্ছে, গলায়, বুকে, স্তনের বোঁটায়, কানের লতিতে, কখনো নাকের ডগা চুষছে, মৃদু কামড় দিচ্ছে কানে লতিতে, স্তনের বোঁটায়। আমি যেন ওর হাতের পুতুল হয়ে গেছি। পিঠের তলা দিয়ে দু হাত নিয়ে দস্যুর মত জাপটে ধরে আমায়, এত জোরে , যেন পিষে ফেলবে, মিশসিয়ে নেবে ওর শরীরে, আর আমিও তো চাইছি ওর সাথে মিশে যেতে, ভেসে যেতে। যৌনতার এত সুখ আমি আগে আর পাইনি। আমাকে উল্টে পাল্টে, উপুড় করে , আমার নরম ঈষৎ ভারী শরীরটাকে, একতাল মাটির মত, ময়দার মণ্ডের মত , চটকে চটকে , কি সুখ যে দিচ্ছে আমাকে, মনে হচ্ছে যেন সমুদ্রের ঢেউয়ে ডুবছি আর ভাসছি। যত সময় যাচ্ছে, ছেলেটার দস্যুপনা বাড়ছে। আমাকে কাত করে শুইয়ে, ডান পা-টা তুলে ধরে, উঠে বসে আমার বাম জঙ্ঘার উপর। এবার নতুন খেলা, নতুন বিভঙ্গে। কন্ডোম পরা পুরুষাঙ্গ প্রবল শক্তিতে প্রবিষ্ট করায় আমার গহ্বরে, যা কাঁপছে, আঁকড়ে ধরছে ওই পেশল মাংসদণ্ডকে। আমার গোঙানি তীব্র হচ্ছে, আঃ আঃ করে , কাতর আর্তনাদে খিমচে ধরেছি বিছানার চাদর। কি যেন ঝলকে ঝলকে নিঃসৃত হচ্ছে, যোনিগহ্বর থেকে। একেই কি বলে অর্গাজম ? দীপেনের সাথে দীর্ঘ যৌন জীবনে যা পাইনি আজো।
একসময় ছেলেটা আমাকে আবার চিত করে ফেলে, উঠে আসে আমার উপর, আর দু হাতে সর্ব শক্তি দিয়ে, জাপটে ধরে। আমি দু পা দিয়ে, শক্ত করে পেঁচিয়ে ধরি ওর কোমর। সে গোঙায়, আর টের পাই কন্ডোমের ভিতরে গরম নির্গত তরল। ওকে বুকের উপর নিয়ে, পা দিয়ে কোমর পেঁচিয়ে, শুয়ে থাকি। এবার আমি ওকে চুমু খাই। মাথার চুলে বিলি কাটি। ও আমার বুকে মুখ গুঁজে বাচ্চা ছেলের মত শুয়ে থাকে। কতক্ষণ আমরা এভাবে ছিলাম, জানি না। মনে হচ্ছিল যেন অনন্ত কাল।
ও পোশাক পরে নেয়। আমিও পরি। বেরিয়ে আসি ঘর থেকে। দীপেনকে দেখতে পাচ্ছি না। তখনো পার্টি চলছে। একটু পরেই দীপেন আসে। বলে, চল, এবার ফিরতে হবে। গাড়িতে বসে আমি ওর দিকে তাকাতে পারছিলাম না। ভীষণ লজ্জা করছিল। আবার ভালো লাগার অনুভূতিটাও এড়াতে পারছি না। ও কি কিছু বুঝতে পেরেছে ?
ঘুম ভাঙতেই টের পেলাম, মাথাটা পাথরের মত ভারী হয়ে আছে।
নাড়াতেই পারছি না। কটা বাজে? কোনক্রমে মাথা ঘুরিয়ে দেয়ালে তাকালাম। দশটা বেজে গেছে ! এত বেলা অবধি তো আমি ঘুমোই না। অথচ মনে আছে রাত দশটার মধ্যেই তো শুয়ে পড়েছিলাম।
একে একে মনে পড়তে লাগল রাতের সেই সব কথা।
কে জানে হয়তো সেজন্যই এত ঘুমিয়েছি। দীপেন পাশে নেই। গায়ের চাদর সরাতেই আবাক ! আমি পুরো নগ্ন হয়ে শুয়েছিলাম ? মনে আছে গোলাপি নাইটি পরেছিলাম। প্যান্টিও ছিল। সব উধাও। কোনক্রমে উঠে বসলাম। তাহলে কি দীপেনই খুলেছে সব? ও কি কিছু বুঝতে পেরেছিল ? ত্রস্ত হয়ে নিজের শরীরের দিকে তাকাই। অনেক কামড়েছিল ছেলেটা। কোথাও কোনও দাগ নেই তো ? শুধু ডান জঙ্ঘায় একটু লালচে দাগ। আর কোথাও কিছু নেই।
দীপেন ব্যালকনি বসে ল্যাপটপে কি যেন দেখছে। কানে হেডফোন। আমাকে দেখেই ল্যাপটপ বন্ধ করে দিল ত্রস্ত হাতে। ওকে বললাম, ভীষণ মাথা ধরেছে। ও বলল, চান করে নাও। আমি তোমার জন্য চা করে আনছি। শাওয়ারের জলে ধুয়ে যাচ্ছে রাতের সব আদরের চিহ্ন। চানঘর থেকে বেরিয়ে দেখি চা রেডি। দীপেন বলল, ক’দিন ছুটি নিয়েছি। বললাম, কেন? ও বলল, আমরা কয়েকজন মিলে বেড়াতে যাব। জানতে চাইলাম কে কে যাবে? দীপেন বলল, সেটা সাসপেন্স। গিয়ে দেখবে। চটপট রেডি হয়ে নাও।
কিশোর ভিমানিদের একটা রিসোর্ট আছে দিঘায় জানতাম। আর সাসপেন্সটা ভাঙল মিসেস বসু, মিসেস দত্ত আর সরিতা ভিমানির হৈ হৈ করে ছুটে আসায়। নীলা বলল,
-
“আমরা তো ভাবছিলাম তোমারা আর আসবে না”।
আমি বললাম, - “এত ঘুমিয়েছি আর ঘুম ভাঙতেই টের পেলাম প্রচণ্ড মাথা ব্যাথা”।
শুনে নীলা আর সরিতা হাসতে লাগল। আমি বোকার মত জিজ্ঞেস করলাম,
-
“হাসছ কেন” ?
আমার পেটে যেন মোচড় দিচ্ছে। ওরা কি তবে টের পেয়েছে ? নীলা খুব রহস্য করে বলল,
-
“ জুস খাবে” ? বলতেই ওরা হোহো করে হেসে উঠল।
আমিও বোকর মত হাসছি কিছু না বুঝে। সরিতা জানতে চাইল,
-
“জুসটা কেমন ছিল গো সুজাতা”
আবার ওরা খিলখিলয়ে হাসছে। এবার বুঝতে পারছি, জুসে হার্ড ড্রিংক্স মেশানো ছিল। সারা দুপুর কাটল হৈ হৈ করে। দুপুরে মাংস ভাত খেয়ে দিলাম ঘুম।
ঘুম যখন ভাঙল, তখন সন্ধ্যার অন্ধকার উঁকি দিচ্ছে পর্দাটানা জানালায়। ঘরে একটা মৃদু আলো জ্বলছে। বাথরুম থেকে বেরিয়ে, দীপেনকে খুঁজতে গেলাম। পুরো সুনসান পুরো তলাটা। ব্যালকনিতে গেলাম। দেখি ওরা নীচে । আমিও নেমে গেলাম। আমাকে দেখে নীলা উঠে এল। ওরা কি একটা আলোচনা করছিল। আমাকে দেখেই থেমে গেল সবাই। নীলা আমাকে ওর পাশে বসাল। আমার হাতটা ধরে বলল,
-
“ তোমাকে একটা কথা বলব, সুজাতা। জানি না, তুমি কি ভাবে নেবে। আজ আমরা একটা খেলা খেলব । আমরা প্রায়ই খেলি। আর আজ তাতে তোমাকেও পার্টিসিপেট করতে হবে”। আমি জিজ্ঞেস করলাম,
-
“কি খেলা”?
নীলা আমার হাতটা চেপে ধরে জোরে। চোখে চোখ রেখে যেন পড়তে চাইছে আমার মন। তারপর কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল,
-
“প্লিজ আপত্তি করো না, সুজাতা। আর তুমি তো কাল রাতেই এই খেলাটা খেলেছে”। বলে মুচকি হাসল।
আমার শিরদাঁড়া বেয়ে ঠাণ্ডা হিমবাহ নেমে যাচ্ছে। আমার কাপল চেঞ্জ করব। লটারি করে যার ভাগে যে পড়বে, তার সাথে কাটবে সারা রাত। আমি আমতা আমতা করছি দেখে, নীলা আমার হাতে ঝাঁকুনি দিয়ে বলল,
-
“কিসের এত সংকোচ তোমার ? কাল রাতে আনন্দ পাও নি?
আমরা এখন যে বয়সে এসেছি, একই সঙ্গীর সাথে সেক্সটা পানসে হয়ে গেছে। এটা মানো তো ? তাহলে, নতুন সঙ্গীর সাথে সেফ সেক্স করতে ক্ষতি কোথায় ? আর যেটুকু সংকোচ আছে, সেটাও তোমার কাটিয়ে দেব। জুস আছে তো। আরেকটা সারপ্রাইজ দিই তাহলে ? দীপেনও চায় এটা। তোমার গতকালের ঘটনাটাও দীপেন জানে”।
আমি তো হতভম্ব। আমি ভয়ে ভয়ে দীপেনের দিকে তাকাই। আমাকে অবাক করে দিয়ে দীপেন মিটিমিটি হাসছে। আমার যেন ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল। স্বস্তি পেলাম। তবু কোথাও একটা লজ্জা লজ্জা ভাব। নীলা আমাকে একটা গ্লাস এগিয়ে দিল। হেসে বলল, আজ আর জুস মিশিয়ে খাওয়াব না। এটা জিন। তুমি খাও না জানি। তাই অল্প অল্প করে চুমুক দাও। মনের জড়তা কেটে যাবে। চিকেন রোষ্ট, কাজু, জিন, হুইস্কি হাতে হাতে ঘুরছে। আমার পা যেন একটু টলছে। কিন্তু মনটা ফুরফুরে। আমরা ঘরে গেলাম। আমি আর দীপেন আমাদের রুমে ঢুকলাম। দীপেন বলল, তুমি চেঞ্জ করে নাও। তবে যে নীলা বলল, আমারও নতুন পার্টনার হবে। একটু পরেই দরজায় টোকা পড়ল। দীপেন দরজা খুলে দিল।
একি ? এ যে গতকালের ছেলেটা ! সঙ্গে আরেকটি মেয়ে। অল্প বয়সী। দীপেন আমাকে একটা নীট হুইস্কি দিল। আদর করল। আবার নেশাটা চাগিয়ে উঠছে। আরা ধীরে ধীরে আমার কাঁধ থেকে নামিয়ে দিচ্ছে নাইটির ফিতে। ছেলেটিও নগ্ন হয়ে গেছে। দীপেন আমাকে শুইয়ে দেয় বিছানায়। ছেলেটি দীপেনের সামনেই উঠে আসে বিছানায়। অল্প বয়সী মেয়েটার দিকে এবার চোখ গেল। সেও কখন যেন নগ্ন হয়ে সোফায় বসে পড়েছে। দীপেন বিছানা ছেড়ে মেয়েটির পাশে গিয়ে বসে। মেয়েটি দীপেনকে নগ্ন করে, ওর পুরুষাঙ্গ মুখে পুরে নেয়। চোষে। আর ছেলেটা আমার উপর উঠে আসে। আরা গত রাতের মতই ভাসিয়ে নিয়ে যায় উদ্দাম যৌনতার ঘূর্ণি স্রোতে। ভোরে আমার টয়লেট পায়। দেখি দীপেন আর মেয়েটা জড়াজড়ি করে ঘুমোচ্ছে। ছেলেটার ঘুম ভেঙে গেছে।। সে বলে, ডিড ইউ এভার হ্যাভ মর্নিং সেক্স ? লেটস হ্যাভ ইট নাও। আবার শুরু হয় আমাদের উন্মাদ যৌনতা।
আমরা তিন রাত ছিলাম দিঘার রিসোর্টে। ছেলেটার সাথে বেশ একটা বন্ধুত্ব হয়ে গেছে। আমার একটা ভয় ছিল শুধু। যদি ছেলেটা আমার পরিচয় ডিসক্লোজ করে দেয়। ও হয়তো আমার মনের কথা বুঝতে পেরেছে। আমাকে জিজ্ঞগেস করে, আপনি একসময় নাকতলা থাকতেন কি ? হ্যাঁ, থাকতাম। গৌরবের মা তো আপনি ? আমি অবাক । হেসে বলে, আন্টি আমি পারভেজ। গৌরবের সাথে পড়তাম। মনে পড়ছে ? আমি আকাশ থেকে পড়লাম। গৌরবের খুব বন্ধু ছিল পারভেজ নামের একটা বাচ্চা। ওরা তখন ক্লাস ফাইভ। এ সেই পারভেজ।
পারভেজ আমাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খায়, আদর করে পাগল করে দিচ্ছে। আর কানে কানে বলছে, কোনও ভয় নেই। কেউ জানবে না। যখন তোমার মন চাইবে আমাকে ডেকো। আই লাভ ইউ সুজাতা। ইউ আর সেফ টু মি। আই লাভ ম্যাচিওরড, হট এন্ড সেক্সি উওম্যান লাইক ইউ। আমি পারভেজের নগ্নতায় মিশে যেতে লাগলাম আবার। দীপেন বাইরে, সমুদ্র দেখতে গেছে। আমি আর্তনাদ করে করে উঠি। দস্যুর মত আমাকে নগ্ন করে , পারভেজ আমাকে পিষে ফেলছে। আরা আমার যোনিগহ্বর ওর শক্ত , স্ফীত পুরুষাঙ্গ মাটিতে গাইতি চালানোর মত
খুঁড়ে যাচ্ছে। আমি পাল ভাঙা নৌকোর মত ভাসছি।
0 মন্তব্যসমূহ