মাননীয় সম্পাদক,

      আশা করি আমার আগের স্বীকারোক্তি আপনার পত্রিকার পাঠকদের ভাল লেগেছে। পরিচিত কিছু মানুষজনের মেসেজ পেয়ে বুঝলাম অনেকেই লেখা পেয়ে তৃপ্ত। সেই ভাল লাগার জায়গা থেকে এই পত্রিকায় আমার দ্বিতীয় স্বীকারোক্তি – আমার প্রথম একসাথে দুইজনের সাথে যৌনতা।

               আমার প্রাক্তন একটি মাল্টিন্যাশানাল কোম্পানিতে  চাকরি করার সুবাদে ওর অফিসের কাজে  আমরা  বিয়ের পর হানিমুনের কিছু পরে মুম্বাই গেছিলাম। এবার আমাদের সফর সাথী ছিল ওর কলিগ কাম বন্ধু একজন। বন্ধু হওয়ার সুবাদে তার সাথে আমার পরিচয় ছিল আগে থেকেই। ফলে সে যখন আমাদের সফর সাথী হল, তখন আপত্তির থেকে আনন্দই ছিল বেশী। আমরা তিনজনেই একই ফ্লাইটে মুম্বাই গেছিলাম আর সেখানে একই হোটেলে উঠেছিলাম। সেই বন্ধু, হোটেলে আমাদের পাশের রুম টা নিয়েছিল।

        আমরা শনিবার  সন্ধ্যাতে পৌঁছেছিলাম। উদ্দেশ্য ছিল, কাজের সাথে সাথে মুম্বাই ভ্রমণ। যাইহোক, হোটেল এ পৌঁছে যথারীতি আমরা ড্রিঙ্কস করতে শুরু করে দিয়েছিলাম, আর নেশাও চড়ে গেছিল প্রচুর। দুজনে সেই অবস্থাতে কামক্রীড়ায় মেতে উঠেছিলাম। বেশ খানিক সময় কেটে যাবার পর, পিছনে নিয়ে যখন ক্লান্ত, তখন আমি বিছানায় বিবস্ত্র হয়েই শুয়েছিলাম, ওঠার ক্ষমতা আমার ছিল না। আর আমার প্রাক্তন আবার বোতল খুলে খেতে শুরু করে দিল। আসলে প্রথম দিকে ও একটু কম খেয়েছিল আর খাইয়েছিল আমায় বেশী।   

         খেতে খেতে ওর হঠাৎ কি খেয়াল হল, বন্ধুকে ইন্টারকমে আমাদের রুমে ডাকল, আমি মানা করলেও। আমাকে বলল,-‘তুমি  গায়ে চাদর ঢেকে শুয়ে থাকো, আমরা ড্রিঙ্কস করব, কোন অসুবিধা হবে না’।

          সেই বন্ধু এল, আর আমাকে দেখে তার বেশ ব্যাপারটা লোভনীয় লাগল। আমাকে হট, সেক্সি বলে শুভেচ্ছা বার্তা জানাল। তারপর তারা নিজেদের মত ড্রিঙ্কস নিতে শুরু করল। এর কিছুক্ষণ পর, আমার টয়লেট পেল।  আমি প্রাক্তন কে টাওয়েল দিতে বললাম। কিন্তু সে আমার কথায় পাত্তা না দিয়ে বলল এমনিই যেতে, মানে যেভাবে আছি, সেভাবেই। আমি একথা শুনে মনে মনে খুব রেগেই গেলাম। চুপ করে পড়ে রইলাম বিছানায়। কিন্তু প্রকৃতির ডাককে উপেক্ষা করার ক্ষমতা আমার ছিল না। ব্লাডার ক্রমশই ফুলে উঠছিল। অগত্য উঠে চলে গেলাম বাথরুমে।

 বাথরুম থেকে চোখ মুছে, ঘাড়ে জল দিয়ে টাওয়েল পড়ে বাইরে যখন বেরোলাম। তখন প্রাক্তন হাত ধরে আমাকে  দুজনের মাঝখানে বসাল। ভয়ে ভয়ে, নিমরাজী হয়েও বসলাম। আসলে তখনো নেশার ঘোর আমার কাটে নি। ওর বন্ধু আমার জন্য আবার এক গ্লাস বানিয়ে দিল।আমি না না করেও ওদের জোরাজুরিতে হেরে গেলাম, ড্রিঙ্কস নিতে শুরু করলাম। নেশা ক্রমশ চড়তে লাগল, গাঢ় হয়ে উঠল -এই সময় প্রাক্তন,  বুকে জড়ানো টাওয়াল এক টানে খুলে দিল। আমার তখন শরীরে একটাও কাপড়ের সুতো ছিল না। প্রাক্তন আমার স্তন দুটো টিপতে শুরু করল। বন্ধুকেও ইঙ্গিত করল যোগ দিতে। আমি নেশার ঘোরে সমস্ত বাধা দেওয়ার শক্তি হারিয়ে ফেলেছিলাম। হয়তো মনে মনে আমিও কামের বশ হয়ে পড়েছিলাম! তারপর? আর কি! যা হবার তাই হল।দুইজনকে নিয়ে আমার প্রথম সহবাস।

পরের দিন, রবিবার সকালে, আমি দেখলাম দুজনের মাঝে আমি শুয়ে। আমি খুব ভেঙে পড়েছিলাম সেদিন। নিজের উপর খুব রাগ হচ্ছিল। প্রাক্তন অনেক বুঝিয়ে শান্ত করল – জানাল, এটাও নাকি তার ফ্যাণ্টাসির একটা অঙ্গ ছিল ইত্যাদি, ইত্যাদি।

তার পরের দিন, আমার অনুমতি নিয়েই বন্ধুকে ঘরে ডেকেছিল। সেদিন আমি খুব স্বাভাবিক ছিলাম- কারণ কারো সাথে সারারাত কাটিয়ে আগের মতো লজ্জাশীলা হয়ে থাকাটা বেশ বোকা দেখায়। ফলে সেদিন দুজনের সাথে যৌন ক্রীড়াটা আমার কাছে বেশ উপভোগ্য হয়ে উঠেছিল।

                                                                                                ঝিলিক।