স্বীকারোক্তি ৯

 

আজ একটা স্বীকারোক্তি লিখি পাঠকদের জন্য। বছর সাতেক আগের ঘটনা। তার আগে আমার স্বল্প পরিচয় দি। আমি মিলি, বয়স এখন পঞ্চান্ন র, হাসিখুশি ভদ্রমহিলা- এই বয়সে যেমন সবাই হন আর কি।

তো বছর সাত আগে আমি আর আমার কত্তামশাই মিলে গেছিলাম ডিসেম্বর মাসে শীতে সুন্দরবন ঘুরতে। ছেলে হোস্টেলে। আমাদের সাথে আমাদের পাড়া আর আমাদের শহরের কমবেশি পরিচিত কিছু পরিবার ঘুরতে গেছিল।

প্রথম রাতে লঞ্চে চাপার পর একটা মুশকিল হল। আমরা যে ভেসেল মানে লঞ্চে চেপেছিলাম তাতে লোক বেশি হয়ে গেছিল।
ভেসেলের একতলায় শোয়ার জায়গায় মারাত্মক চাপাচাপি। 30 জন যেখানে আরাম করে শুতে পারেন সেখানে পঞ্চাশ জন হয়ে গেছে। যারা সুন্দরবনে ভেসেলে চেপেছেন তারা বুঝতে পারছেন।

রাতে খাওয়াদাওয়া মিটিয়ে শুয়ে পড়েছি আমরা। একদিকে একদম ধারে দেওয়ালের পাশে বর,তার পাশে আমি আমার পাশে এক সেদিন পরিচিত হওয়া ভদ্রমহিলা, তার পাশে তার স্বামী - আমার বয়সীই হবেন তিনি।
মাঝনদীতে বাঁধা লঞ্চে দুলুনি অনুভব করতে করতে আমরা লেপ মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লুম।

খুব ভোরে অনুভব করলুম আমার কত্তামশাই লেপের মধ্যে আমাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরলেন। ভোরবেলা ওনার এরকম ইচ্ছা হয়। আমার ভালোই লাগল। ওনার হাতে মাথা এলিয়ে দিলুম। উনি আরো জড়িয়ে ধরলেন।
আস্তে আস্তে পিঠে হাত বোলাতে লাগলেন। শীতের সকালে লেপের মধ্যে বেশ লাগছিল।
ওনার হাত একটু পেট টিপল,নাভিতে সুড়সুড়ি দিল। আস্তে আস্তে এবার আমার ব্লাউজে চলে এল। উপর দিয়ে একটু টিপে বোঁটায় সুড়সুড়ি দিয়ে ব্লাউজ খুলে দিলেন, তারপর ব্রা খুলে দিলেন। তারপর দুই স্তন একহাত দিয়েই পালা করে করে টিপতে লাগলেন, কখনো আস্তে কখনো জোরে।
শরীর গরম হয়ে উঠল। তখন কোথায় লাগে শীত ! আরো দুই শরীর কাছাকাছি এল। ওনার শরীরের গরম মেখে থাকতে বেশ লাগছিল।

দুষ্টুমি করতে খুব ইচ্ছা করল। সোজা হাত দিলুম কত্তার পুরুষাঙ্গে ওনার ফুলপ্যান্টের উপর দিয়ে। রীতিমতো ফুসছে তখন সে। কত্তা তখন একটু চমকে উঠলেন যেন। পেটে খামচে দিলেন একটু। পেটের চর্বিগুলো, স্তন চটকাতে চটকাতে সায়ার দড়ি খুলে সায়াটা অল্প নামিয়ে দিলেন। প্যান্টির উপর দিয়ে ত্রিভুজে হাত বোলালেন। তারপর প্যান্টির সামনেটা নামিয়ে দিয়ে সোজা হাত বোলাতে লাগলেন। চুল নিয়ে খেলতে লাগলেন। তারপর চুল সরিয়ে ফুটোয় ওনার আঙুল ওঠানামা করতে লাগল এঁকেবেকে। বেশিসময় থাকতে পারলাম না। রাগমোচন করে দিলুম। উনিও আমার হাতে তখন কম্মো করে দিয়েছেন। নাকে হাতটা এনে শুকলাম একটু।
 
নিজের লেপে কিছুসময় ওভাবে শুয়ে থাকলাম। আস্তে আস্তে সব পরলাম। তারপর উঠে পড়লাম লেপ সরিয়ে। বাথরুমে যাবার আগে একবার বাইরে বেরিয়ে উপরের ডেকে তাকালাম। উপরের দৃশ্য দেখে তখন আমি স্তম্ভিত। কত্তা রেডি হয়ে বসে উপরের ডেকে চা খাচ্ছেন অন্যদের সাথে আড্ডা মারতে মারতে।

বিস্মিত আমি বাথরুম যাবার আগে দেখলুম আমার পাশের ভদ্রমহিলার শোবার জায়গায় ভদ্রলোক মানে ওনার স্বামী লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে ঘুমিয়ে আছেন।
ভদ্রমহিলা একটু আগে উপরে গিয়ে বসেছেন। শোবার জায়গায় তখন শুধু কিছু বাচ্চা আর দুজন বয়স্ক মানুষ ঘুমাচ্ছেন। তার মানে উনিই .....

বাথরুমে গিয়ে কমোডে বসে পুরো ঘটনাটা হিসেব করতে করতে ভাবলাম "যাকগে। আর ভেবে কী হবে? যা হয় ভালোর জন্যেই হয়।


                                                ইতি - মিলি 

 


0 মন্তব্যসমূহ